![]() |
অঞ্জনা সুলতানা এবং ইলিয়াস কাঞ্চন |
ইলিয়াস কাঞ্চন তার স্মৃতিচারণা শুরু করেন অঞ্জনার সৌন্দর্য ও সৌজন্যের কথা উল্লেখ করে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক চলচ্চিত্র জগতে অঞ্জনা ছিলেন অনন্যা। তাদের সহযোগিতা ছিল চমৎকার, কোনরূপ দ্বন্দ্ব বা ভুল বোঝাবুঝি ছাড়াই।
কাঞ্চন প্রথমবার যখন তাকে সেটে দেখেন, তখনই তার উপস্থিতি মুগ্ধ করে। প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলেন, অঞ্জনা ছিলেন সাফল্যের জন্যই জন্মানো, যেখানে সৌন্দর্য ও মানসিক দৃঢ়তা একসঙ্গে মিশে ছিল।
কাঞ্চন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলোর কথা উল্লেখ করেন, বিশেষ করে তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ। এটি ছিল তার দৃঢ় বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। অঞ্জনা তার পেশাগত জীবনেও ক্রমাগত বিকাশের প্রমাণ রেখেছেন। তার অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব ও দৃঢ় মানসিকতা তাকে অনেকের কাছেই অনুকরণীয় করে তুলেছে।
‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে তাদের কাজের স্মৃতিচারণ করে কাঞ্চন বলেন, অঞ্জনার প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করেছিল। শারৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিতে তাদের রসায়ন ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
কাঞ্চন উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে যে নিঃসঙ্গতার অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে অঞ্জনার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব সকলকে আলোকিত করত।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, হঠাৎ শারীরিক সমস্যার কারণে অঞ্জনা সুলতানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউ'র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনেই তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ২০২৫) দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার আকস্মিক মৃত্যু সকলকে শোকাহত করে।
অঞ্জনার সঙ্গে কিছু মজার মুহূর্তের কথা স্মরণ করে কাঞ্চন জানান, তার মৃত্যুর দিন তিনি কোনো খবর পাননি। এ নিয়ে তার মনে গভীর খেদ রয়ে গেছে।
COMMENTS