আপনারা হয়তো ইতোমধ্যেই জানেন যে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যিনি ২০২২ সালে মারা যান, তিনি ইসরাইল সম্পর্কে একটি ভিন্নমত পোষণ করতেন। তিনি কখনো ইসরাইল সফর করেননি এবং ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বাকিংহাম প্যালেসে প্রবেশ করতে দেননি। সাবেক ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন বলেছিলেন যে, রানির দৃষ্টিভঙ্গি এমন ছিল যে, তিনি ইসরাইলিদের সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সন্তান মনে করতেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, প্রতিটি ইসরাইলি সন্ত্রাসী নয়। বরং তারা এমন একটি প্রোপাগান্ডায় বড় হয় যা তাদের অনেককে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এবং অন্যায় কাজ করতে উৎসাহিত করে।
তবুও, রানির এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে অনেকটাই নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। তিনি ১২০টিরও বেশি দেশ সফর করেছিলেন, তবে কখনো ইসরাইল সফর করেননি। এর পেছনে তাঁর মতামতের কারণ হয়তো রাজনৈতিক চাপ এড়ানো। এটি আমাকে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিতে ভাবতে সাহায্য করেছে।
এছাড়াও, বর্তমান রাজা চার্লস ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তিনি আরবি শিখেছেন এবং কুরআন পড়েছেন। ১৯৮৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর তিনি এক চিঠিতে লিখেছিলেন যে, তিনি ইসলামের অনেক দিকের প্রশংসা করেন এবং ইসরাইল সম্পর্কে আরবদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করেছেন।
রাজা চার্লস অক্সফোর্ড সেন্টার অব ইসলামিক স্টাডিজের পৃষ্ঠপোষক এবং তিনি সেখানে এক বক্তৃতায় বলেন যে, "ইসলাম আমাদের অতীত এবং বর্তমানের অংশ। এটি ইউরোপের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ।" তিনি আরও বলেন যে, যুক্তরাজ্যে মুসলিম সম্প্রদায় একটি সম্পদ এবং তাদের বিশ্বাস ও চর্চাকে সম্মান জানানো উচিত।
এই বিষয়গুলো আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে যে, হয়তো আমাদের চারপাশে অনেকেই আছেন যারা ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন, কিন্তু তা প্রকাশ করেন না। এমনকি ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও অনেক গোপন মুসলিম রয়েছেন, যারা তাদের ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে রাখেন রাজনৈতিক কারণে।
আমরা যদি মানুষকে ভালো দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করি এবং সবার মধ্যেই ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাই, তাহলে সমাজে আরও ভালো পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ধন্যবাদ এই লেখা পড়ার জন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য এবং শান্তির পথে পরিচালিত করুন। ইনশাআল্লাহ।
COMMENTS