তারিখ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫
সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (আইসিএ) জানিয়েছে, ৮০টি অননুমোদিত ঠিকানা পরিবর্তনের চেষ্টার পর তাদের অনলাইন ই-সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত:
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিএ প্রথম বিষয়টি তদন্ত শুরু করে, যখন তারা বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অননুমোদিত ঠিকানা পরিবর্তনের অভিযোগ পায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অপরাধীরা চুরি করা বা ক্ষতিগ্রস্ত সিংপাস (Singpass) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য অনলাইনে "অন্যান্য" অপশন ব্যবহার করছিল।
ই-সেবার মূল বৈশিষ্ট্য:
২০২০ সালে চালু হওয়া এই সেবা সিঙ্গাপুরের বাসিন্দাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের ঠিকানা অনলাইনে পরিবর্তন করতে পারেন।
তিনটি মডিউলের মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করা যেত:
১. নিজে
২. নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য
৩. অন্যের পক্ষে (প্রক্সি ব্যবহার করে)
প্রক্সি অপশনটি এমন ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যারা ডিজিটালি দক্ষ নন।
অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং তদন্ত:
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আইসিএর তদন্তে প্রকাশ পায়, অপরাধীরা চুরি করা সিংপাস অ্যাকাউন্ট দিয়ে ভুক্তভোগীদের এনআরআইসি নম্বর ও তার তারিখ ব্যবহার করে ঠিকানা পরিবর্তন করত।
পরবর্তীতে, তারা ভুক্তভোগীর ঠিকানায় একটি যাচাইকরণ পিন পাঠিয়ে সেটি সংগ্রহ করত এবং তার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর সিংপাস অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিত।
নিরাপত্তা জোরদার করার পদক্ষেপ:
আইসিএ জানিয়েছে যে, তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- মুখ যাচাইকরণ প্রযুক্তি: সিংপাসে লগইনের সময় এটি ব্যবহার করা হবে।
- ওটিপি (OTP) সিস্টেম: প্রয়োজন হলে, যার ঠিকানা পরিবর্তন হচ্ছে, তার সম্মতি নিশ্চিত করা হবে।
আইসিএর বার্তা:
আইসিএ জানিয়েছে, ই-সেবা পুনরায় চালু করার আগে তারা আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করবে। সাময়িক স্থগিতের সময়, যাদের ঠিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন তারা আইসিএ বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
ভুক্তভোগীদের জন্য নির্দেশনা:
আইসিএ সকল ভুক্তভোগীকে যোগাযোগ করছে এবং তাদের নতুন এনআরআইসি ইস্যু করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে। ভুক্তভোগীদের তাদের ঠিকানা বা সিংপাস অ্যাকাউন্টে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে তা রিপোর্ট করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উৎস: চ্যানেল নিউজ এশিয়া
COMMENTS